Wednesday, March 27, 2013

national news

কুমারখালীতে লীগের অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর লুট
কুষ্টিয়া সংবাদদাতা
তারিখ: ২৮ মার্চ, ২০১৩
কুষ্টিয়ায় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলা ভাঙচুর :  
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খানের সশস্ত্র লোকজন সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর, নির্যাতন লুটপাট করেছে। গত মঙ্গলবার রাতে কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামে ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে এলাকার চার শতাধিক সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। মামলা দায়ের হওয়ায় পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসিয়ে পাহারা দেয়া হচ্ছে। ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি জামায়াত নেতৃবৃন্দ নিন্দা ােভ প্রকাশ করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন
জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য দয়ারামপুর গ্রামের আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ওই গ্রামের কার্তিক ঘোষসহ আরো অনেককে অনুরোধ জানান। কিন্তু তারা ওই অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়ায় মান্নানের লোকজন প্তি হয়। ওই দিন রাত ৯টার দিকে ঈসা কালামের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী দয়ারামপুর গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং লুটপাট করে। সময় অনেক পরিবারের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। সন্ত্রাসীদের হামলায় সবচেয়ে বেশি তিগ্রস্ত হয়েছে অশোক,কার্তিক রবি ঘোষের পরিবার। সময় সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকার পুরুষেরা পালিয়ে জীবন বাঁচালেও সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যায়। ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কুমারখালী থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এদিকে ঘটনার পর খবর পেয়ে কুষ্টিয়া থেকে জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন পুলিশ সুপার মফিজউদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেন
ঘটনার পর থেকে এলাকায় সংখ্যালঘু পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসিয়ে এলাকায় পুলিশ প্রহরা জোরদার করা হয়। গতকাল কার্তিক ঘোষ বাদি হয়ে কুমারখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ইব্রাহিম আব্দুর রশিদ নামে দুজন আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে
ব্যাপারে জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সী রশিদুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে যোগদান না করার অপরাধে সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মঙ্গলবার রাতের ঘটনার পর এলাকার বিপুলসংখ্যক সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মামলা দায়ের করায় সরকারদলীয় নেতারা মামলা প্রত্যাহারের হুমকি প্রদর্শন করছেন বলে জানা যায়। দিকে কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের জানান, আমার সমর্থিত লোকজন সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে তবে এদের সাথে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপি জামায়াত। দয়ারামপুর গ্রামে স্থানীয় এমপি সুলতানা তরুণ সমর্থিত সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর সভাপতি মান্নান সমর্থিত লোকজন হামলা চালায়। গ্রামের  বেশির ভাগ সংখ্যালঘু পরিবার দুধ বিক্রি করে উপার্জন করে থাকেন


No comments:

Post a Comment

Translate